তালমা ঈদগাহ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইসতিসকার নামাজে ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ফটিকছড়ি ধর্মপুর এমদাদ উলুম মাদরাসা চট্টগ্রামের শিক্ষা সচিব মুফতি মোহাম্মদ আইয়ুব। নামাজে অংশ নেয় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, তালমা ঈদগা মাঠের সভাপতি ও কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকসহ এলাকাবাসী।
নামাজ অংশ নেওয়া মুসল্লীরা বলেন, তীব্র খরা ও প্রচণ্ড গরমে নাকাল হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণিকুল। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। এ দিকে জেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এজন্য স্থানীয়রা বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করেন।
নামাজ অংশ নেওয়া মুসল্লীরা বলেন, তীব্র খরা ও প্রচণ্ড গরমে নাকাল হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণিকুল। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। এ দিকে জেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এজন্য স্থানীয়রা বৃষ্টি প্রার্থনায় ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করেন।
রাসূল সা. তার জীবদ্দশায় বৃষ্টি প্রার্থনায় অনেকবার ইসতিসকার সালাত আদায় করেছেন। সহিহ মুসলিমের এক বর্ণনায় এসেছে, আনাস ইবনু মালিক রা. থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি জুমার দিনে দারুল কাযার দিকের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামলে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তা ঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। আনাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন।
আনাস রা. বলেন, আল্লাহর কসম আমরা আকাশে কোনো মেঘ দেখেনি। আমাদের এবং সালা পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে কোনো ঘরবাড়িও ছিল না। হঠাৎ পাহাড়ের পশ্চাৎ দিকে হতে তীরের ন্যায় এক খণ্ড মেঘ উদিত হল। যখন তা মধ্যাকাশে পৌঁছাল তখন তা ছড়িয়ে পড়ল। এরপর বর্ষণ শুরু হল। রাবী বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত সূর্য দেখিনি।
ইমাম মুফতি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, গত কয়েক দিনের অসহনীয় গরম পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ আদায় ও মোনাজাত করা ছাড়া মুমিনদের কোনো উপায় নেই। দোয়ায় অনাবৃষ্টি ও গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ