ভিজিএফ চালের কার্ড বণ্টনকে কেন্দ্র করে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে মারধর ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফের চাল বিতরণের জন্য তার ইউনিয়নের ২ হাজার ২৪৯ জন দুস্থ মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর নাম ব্যবহার করে বরাদ্দের ৫০ শতাংশ কার্ডের দাবি করে। চেয়ারম্যান তা দিতে অস্বীকার করলে দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি তাকে মারধর ও তার কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।


এদিকে মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলালকে মারপিট ও কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ উপকার ভোগীরা। দুপুর ১টা থেকে ক্ষুব্ধ জনতা বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক অবরোধ করে। দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের আটকের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধরা।

মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল বলেন, এমপি সাহেবের (ডা.সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী) লোকজন এসে চালের কার্ডের ৫০ পার্সেন্ট দাবি করে। আমি বলেছি সমন্বয় করে দেব, এ কথা বলতেই আমাকে মারধর শুরু করে। আমি হাসপাতালে রয়েছি। এখান থেকে ফিরে থানায় অভিযোগ করব।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমি নিজে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি পরে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেন। আহত চেয়ারম্যান থানায় এসেছেন, অভিযোগ দেবেন। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, বাজেট অধিবেশন চলায় বর্তমানে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। ইউনিয়ন পরিষদে গোলযোগের ঘটনা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানলাম। অসলেই কী ঘটেছিল সম্পূর্ণভাবে জানতে পারিনি। জেনে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।