এ ঘটনায় ভারতের সিকিম রাজ্যের ছোট পাকিয়ং পুলিশ স্টেশন থেকে নিখোঁজের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে।
এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্প্যার বাঁধ এলাকার মাঝের চর থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহের হাতে একটি ঘড়ি ও মুখে দাড়ি ছিল। রশি দিয়ে হাত বাঁধা ছিল। তবে পচন ধরায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই সেটিপুলে ভগ্নিপতির বাসভবনে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন আরসি রামচন্দ্র পাউডেল। পরে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তার সন্ধান বের করতে না পেরে স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
নিখোঁজের আট দিন পর লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সলেডি স্প্যার বাঁধের মাঝের চরে তিস্তা নদীতে মরদেহ ভেসে ওঠে এবং অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে পুলিশ।
আদিতমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, তিস্তার চর থেকে মরদেহটি উদ্ধারের পর আমরা তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করি। পরে ভারতের সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারি সিকিমের একজন নিখোঁজ হন। এরপর তার হাতের ঘড়িটি দেখে তার পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেন। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের পর মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্টে পাঠানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ