বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদ এবং তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এসময় শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন তারা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে বিভিন্ন মেডিকেলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এসময় মেডিকেল শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীদের ওপর গুলি চালানোর ও রাস্তায় বিনা কারণে মোবাইল ফোন চেক করার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
তারা ছাত্রদের গণগ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
চিকিৎসকরা বলেন, এই দেশটাতে স্বাধীন মনে হচ্ছে না। যেখানে লাশ পড়ে থাকে রাস্তায়, নির্বিচারে গুলি করা হচ্ছে। এতে আমার ভাই মারা যাচ্ছে, আমার বোন মারা যাচ্ছে, ছেলে-মেয়েরা মারা যাচ্ছে। আমরা চাই একটা সুন্দর স্বাধীন দেশ।
এছাড়া চিকিৎসকরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজাকার শব্দটি উচ্চারণের পাশাপাশি একটি সুন্দর জিনিস আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে, তারা নাকি সংবিধান সম্পর্কে অবগত নয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। ছোট স্কুল ব্যাগে ১৪-১৫টি বই থাকে, কিন্তু একটা সংবিধানের কোনো লাইন লেখা নাই। রাজনৈতিক দলগুলো সব সময় চেয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্ম যেন সংবিধান না শিখে বড় হয়। যা প্রধানমন্ত্রী নিজের মুখে স্বীকার করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ