গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা ও নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে কুমিল্লা নগরী।


সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।


বিক্ষোভকারীদের হাতে দেখা যায় নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড—যার মধ্যে লেখা ছিল: ‘সেভ ফিলিস্তিন’, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরায়েল’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত—ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’।


এই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে এক ফিলিস্তিনি নাগরিক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন,


“আজ সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং ইসরায়েলকে গাজার নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা বন্ধ করতে জোর করছে। আমি এখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি এমন এক সময়ে, যখন আমার দেশ ইসরায়েলের হামলার অধীনে রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এক বছর আগে আমার মাকে হারিয়েছি, আর ফিলিস্তিনের মানুষও কিছু না কিছু হারিয়েছে। তবুও আমরা এখনও আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি এবং কখনো হার মানবো না, কারণ এটি আমাদের পূর্ণ অধিকার। এটাই আমাদের পবিত্র ভূমি।


ইসরায়েল নামক কোনো রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নেই। একে ফিলিস্তিন বলা হতো, এখনও ফিলিস্তিন বলা হয় এবং চিরকাল ফিলিস্তিনই বলা হবে। আমরা এখানে দাঁড়িয়ে বলছি—এবার যথেষ্ট হয়েছে। এটা প্রত্যেক মানব জাতির জন্য লজ্জার, তারা মুসলিম হোক, খ্রিস্টান হোক, হিন্দু হোক কিংবা অন্য কোনো ধর্মের অনুসারী—এই যুদ্ধ শুরু করেছে এমন একটি শত্রু, যারা মানবতার অর্থই বোঝে না। সকলের দৃষ্টি থাকা উচিত সেই ফিলিস্তিনি জনগণের দিকে, যারা গত দেড় বছর ধরে কষ্টে, অনাহারে ও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে।”


বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষদের দৃঢ় কণ্ঠে উচ্চারিত স্লোগান ও সংহতির বার্তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়—ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন আজ আর কেবল একটি অঞ্চল বা ধর্মীয় গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে বিশ্বমানবতার এক সম্মিলিত দাবি।

সূত্রঃ https://youtu.be/X10RlQGHCG0?si=LBiZK1gwUI65yf7T